Ambubachi & Raja Parba -অম্বুবাচী-अम्बुबाची
Ambubachi is a significant cultural and religious festival celebrated primarily in the state of Assam, India. The term "Ambubachi" literally translates to "the cessation of water" in Assamese, signifying the softening of the earth after the arrival of monsoon rains, which makes it fertile and ready for procreation. This festival holds profound importance in the worship of Devi Kamakhya, a Hindu goddess revered as the embodiment of feminine energy or Shakti.
During Ambubachi, devotees observe a period of three days during which various restrictions are followed, such as abstaining from cooking, performing puja (ritual worship), reading holy books, and agricultural activities. It is believed that these restrictions symbolize the menstruation period of Devi Kamakhya, and her temple is closed to the public during this time.
After three days, rituals are conducted to signify the purification of Devi Kamakhya, and the temple doors are reopened. Devotees then gather to receive Prasad (blessed offerings) and seek blessings from the goddess. On the fourth day, devotees are allowed to enter the temple and worship Devi Kamakhya, marking the end of the Ambubachi festival.
Maha Devi stotram.
Raja Parba(Festival) ;
Ambubachi, or Ambabati, is a festival celebrated in Assam, West Bengal, and Bangladesh. In Utkala (Odisha), a similar festival is known as Raja Parba (Odia: ରଜ ପର୍ବ), also called Mithuna Sankranti. Raja Parba is a three-day-long festival that celebrates womanhood and marks the onset of the rainy season. The second day of the festival coincides with the beginning of the solar month of Mithuna. The term "Raja" is derived from the Sanskrit word "rajas," meaning menstruation, and a menstruating woman is referred to as "rajasvala."
Historically, Raja Parba gained prominence as an agricultural holiday dedicated to the worship of Bhumi, the earth goddess and consort of Lord Jagannath, (Lord Vishnu). In the Puri Temple, a silver idol of Bhumi is placed beside Jagannath. The festival usually falls in mid-June. The first day is called Pahili Raja, the second day is Mithuna Sankranti, and the third day is Bhudaaha or Basi Raja. The fourth and final day is Basumati Snana, during which women bathe a grinding stone, symbolizing Bhumi, with turmeric paste and adorn it with flowers and sindoor. Seasonal fruits are offered to Mother Bhumi.
The day before the festival, known as Sajabaja or preparatory day, involves cleaning the house and kitchen, including grinding stones, and preparing spices for the three-day celebration. During Raja Parba, women and girls rest from work, wear new sarees, apply alata (a red dye), and adorn themselves with ornaments. This festival is a form of Ambabati /Ambubachi or closely resembles the Ambubachi festival.
अम्बुबाची-
अम्बुबाची मेला असम राज्य में स्थित माँ कामाख्या देवी के मंदिर में मनाया जाने वाला एक प्रमुख त्यौहार है, जो भारत के 51 शक्तिपीठों में से एक है। यह मेला देवी कामाख्या के मासिक धर्म के प्रतीक के रूप में मनाया जाता है।
कामाख्या मंदिर में माँ सती का यौनांग गिरा था, इसलिए यहाँ किसी देवी की मूर्ति नहीं है बल्कि एक योनिकुंड (योनि के प्रतीक) के रूप में पूजा की जाती है। हर साल जून महीने में अम्बुबाची के समय, माना जाता है कि माँ कामाख्या मासिक धर्म में होती हैं। इस दौरान मंदिर के गर्भगृह को तीन दिनों के लिए बंद कर दिया जाता है। इन तीन दिनों में कोई भी पूजा या दर्शन नहीं होते हैं।
तीन दिन बाद, मंदिर का पट फिर से खोल दिया जाता है और माँ की विशेष पूजा-अर्चना की जाती है। इस समय, भक्त जन बड़ी संख्या में मंदिर परिसर में एकत्रित होते हैं और वहाँ रुककर पूजा-अर्चना करते हैं। इस पूरे त्यौहार को अम्बुबाची मेला कहा जाता है, जो श्रद्धालुओं के लिए विशेष महत्व रखता है और बड़ी धूमधाम से मनाया जाता है।
अम्बुबाची मेले के दौरान, मंदिर परिसर में विभिन्न धार्मिक और सांस्कृतिक कार्यक्रमों का आयोजन भी होता है, जो भक्तों और पर्यटकों को आकर्षित करता है। यह मेला न केवल धार्मिक महत्व का होता है बल्कि असम की समृद्ध संस्कृति और परंपरा का भी एक महत्वपूर्ण हिस्सा है।
অম্বুবাচী বা অম্ববতী:-
অম্বুবাচী একটি অসমীয়া শব্দ এর অর্থ আকাশের জল পেয়ে পৃথিবী মাতা কৃষি যোগ্য হওয়া।পশ্চিম বঙ্গে একে অম্ববতী বলা হয়।
অম্ববতী;-
অম্ববতীর অর্থ ফল, মূল ,শস্য ইত্যাদি গর্ভে ধারণ করা অর্থাৎ মা হওয়া। অম্ববতী হিন্দু ধর্মের মানুষদের একটি বাৎসরিক উৎসব। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্ববতী অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়। অর্থাৎ, মাতা পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন। লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন। এই সময়টিতে অম্ববতী পালন করা হয়।এই উৎসবটি প্রতিবছর পৃথিবী মাতা ও কামাখ্যা দেবী মায়ের বার্ষিক ঋতুস্রাবের জন্য উদযাপন হয়।পূর্ব ভারতে এবং বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় দ্বারা এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন হয়।
অম্বুবাচী:-
আসামে অম্বুবাচী একটি বড় উৎসব, লক্ষ লক্ষ ভক্ত তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের মাংগলিক কার্য করা যায় না। চতুর্থ দিন থেকে মঙ্গলিক কাজে কোনো বাধা থাকেনা। অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে ।
৭ থেকে ১১ আষাঢ় এই চার দিন গ্রাম-বাংলার মহিলারা এই অনুষ্ঠান পালন করেন। চাষ বাসের কাজ এই সময় বন্ধ থাকে। এই অনুষ্ঠানে দেবী ভক্ত মহিলারা তিন দিন ধরে ব্রত রাখেন। অম্বুবাচীর আগের দিন রান্না করা খাবার তারা তিন দিন ধরে খান। ঐ তিন দিন তারা কোন গরম খাবার খান না। এই তিন দিন কামরুপ কামাখ্যায় দেবী মায়ের পূজা হয়। তিন দিন পরে কামাখ্যা দেবীকে স্নান করান হয়,কামাখ্যা দেবী মায়ের বিশুদ্ধতা পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য রীতিনীতি পালন করা হয়। তারপর মন্দিরের দরজা খোলা হয় এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়। চতুর্থ দিনে, ভক্তরা মন্দিরের প্রবেশ এবংকামাখ্যা দেবী মায়ের পূজা করার অনুমতি পান।
আমাদের বেশির ভাগ লোকের ধারণা এটি হয়তো কেবল মা কামাখ্যার ঋতুমতী হওয়ার উৎসব ,আসলে কিন্তু তা নয় এটি মা কামাখ্যার ঋতুমতী হওয়ার সাথে সাথে পৃথিবী মাতার ও ঋতুমতী হওয়ার উৎসব কিন্তু এই উৎসবের কেন্দ্র বিন্দু কামাখ্যা দেবী মায়ের মন্দির,কারণ দেবী মাতা সতীর শরীর যখন ভগবান নারায়ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন করেন ,তখন দেবী মাতা সতীর জননাঙ্গ(যোনি) নীলাচল পর্বতের উপর পতিত হয়,যেখানে বর্তমানে কামাখ্যা দেবী মায়ের মন্দির অবস্থিত।
অম্বুবাচীর প্রথম দিনে কোন কোন জায়গায় সাত প্রকারের ফল দেবী মা কে অর্পণ করা হয়। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন কোন জায়গায় পিঠা-পায়েস দেবী মা কে অর্পণ করার রীতি ও আছে।
সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। সমগ্র মানব জাতি ও জীব জন্তুর কল্যাণ হোক। শান্তির জয় হোক,সত্যের জয় হোক,মানবতার জয় হোক ,সনাতন ধর্মের জয় হোক। 🙏
 |
| প্রবীর কুমার মহান্তী-দিল্লি |